শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

বানারীপাড়ায় সরকারি খাস  জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ!

মো. সুজন মোল্লা বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ইন্দের হাওলা গ্রামে সরকারি খাস সম্পত্তি দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন মো. রহিম নামের এক ব্যক্তি।
যদিও রহিম বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। জানাগেছে, তবে তার পাঠানো টাকা দিয়েই ভগ্নিপতি মো. শাহীন হাওলাদার ৭ অক্টোবর মূহুর্তের মধ্যে ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন।
রহিম ফকিরের চাচা আনোয়ার হোসেন ফকির এমন অভিযোগ করে বলেন, ইন্দের হাওলা মৌজার জেএল-১৮, খতিয়ান ১৭৯ “র সাড়ে ৮ শতাংশ  পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছ। অপরদিকে তার ভাই মৃত নূর হোসেন ফকিরের ছেলে রহিম তার দুই ফুপু রনজু বেগম ও মিনারা বেগমের কাছ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ ফরাজি জমি পর্যায়ক্রেম ক্রয় করেন  বর্তমান সময় থেকে ৩ বা ৮ বছরের মধ্যে।
ওই জমি ক্রয় করার পরে বসত বাড়ি করেন রহিম ফকির। তার বসত ঘরের সামনের অংশ পরে সরকারি খাস জমির ওপরে আর পূর্ব দিকের বারান্দার বেশির ভাগ অংশ পরে চাচা আনোয়ারের পৈত্রিক সম্পত্তির মধ্যে।
তখন আনোয়ার আপত্তি জানালে তাকে বসত ঘরের পিছন থেকে সমপরিমান জমি দেয় রহিম ফকির। জমি পাল্টাপাল্টি করার সময়
আনোয়ারের যে জায়গায় রহিমের বারান্দা পরেছে সেই জমির সামনের খাস সম্পত্তি তাকে ভোগ দখল করার শর্ত ছিলো। সে মোতাবেক আনোয়ার ওই খাস জমিতে বিভিন্ন জাতের ফলদ গাছ রোপন করে আসছেন।
ফলদ গাছ রোপন কৃত সেই জমির সামনেই টয়লেট নির্মাণ করেণ রহিম। সম্প্রতি সেই টয়লেট খালে ফেলে দেয় আনোয়ার। এ নিয়ে লবনসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
শুক্রবার ৯ অক্টোবর আনোয়ার হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুরে বিরোধীয় স্থানে গেলে জানা যায় নতুন তথ্য। স্থানীয় শালিসদার মো. আলমগীর হোসেন জানান, খাস সম্পত্তি যা বর্তমানে রহিমের দখলে রয়েছে তার মধ্যে সরকারি খাল ও রাস্তা রয়েছে।
সরকারি ওই রাস্তা ও খালের জমিতে (ভরাট হয়ে যাওয়া) বিভিন্ন জাতের ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করেছেন রহিম।  অন্যদিকে গোয়াল ঘরও নির্মাণ করেণ। রহিম গংরা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দেয়ার আগে চলমান বিরোধ নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস মিমাংশার দিন তারিখও ঠিক হয়েছিলো।
পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ ও শালিস মিমাংশার তারিথ দিয়েও সরকারি খাস জমিতে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর দেয়ায় এলাকায় এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় শালিস মো. বজলুর রহমান জানান, মিমাংশার তারিখ দেয়ার পরেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা ঠিক হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com